পল্লী কবি জসীম উদদীনের বাড়ী ও কবর স্থানঃ ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর রেলষ্টশনের উত্তরে কুমার নদীর দক্ষিণে গোবিন্দপুর গ্রামে পল্লী কবি জসীম উদদীনের বাড়ী। বাড়ীতে ০৪টি পুরাতন টিনের ঘর চার চালা ঘর রয়েছে। কবির ব্যবহ্নত বিভিন্ন জিনিসপত্রাদি ঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। কবির বিভিন্ন লেখা বাড়ীর চত্ত্বরে প্রদর্শন করা আছে। বাড়ীর পূর্ব ও পশ্চিমে পোর্শিদের বসতবাড়ী এবং দক্ষিণে ছোট একটি পুকুর রয়েছে। |
 |
|
বাড়ীর উত্তরে কবির কবর স্থান। কবর স্থানের পাশ্বেই পাকা রাস্তা ও কুমার নদী আছে। কবি ১৪-০৩-১৯৭৬ খ্রিঃ তারিখ হতে ডালিম গাছের তলে চিরতরে শায়িত রয়েছেন। কবির কবর স্থানটি পাকা উচু করণ এবং চতুর্দিকে গ্লীলের বেষ্টুনী দ্বারা নির্মিত। কবর স্থানে চিরতরে শায়িত আছেন- (১) কবির পিতা-মৌঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা (২) মাতা- আমেনা খাতুন (রাঙ্গা ছোটু) (৩) কবির পত্নী- বেগম মমতাজ জসীম উদ্দিন (৪) বড় ছেলে- কামাল আনোয়ার (হাসু) (৫) বড় ছেলের স্ত্রী- জরীনা (৬) কবির বড় ভাই- আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন মোল্লা (৭) কবির সেজো ভাই- সাঈদ ইদ্দন আহম্মদ মোল্লা (৮) কবির ছোট ভাই-প্রফেসর নুরুদ্দীন আহম্মদ (৯) কবির ছোট বোন-নূরুন নাহার (সাজু) (১০) কবির নাতিন- আসিফ (১১) কবির সেজো ভাইয়ের মেয়ে- মোসাঃ হোসনে আরা (দোলন) (১২) কবির সেজো ভাইয়ের নাতনী-মনজুরা শাহরীন (চাঁদনী) এবং (১৩) কবির শিশু ভাগিনীর কবর।
দর্শনীয় স্থানের যাবার উপায়ঃ ফরিদপুর বাসষ্ট্যান্ড হতে ২ কিঃ মিঃ দূরে। রিক্সা/অটোরিক্সা/মাইক্রোবাস যোগে যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানের আবাসন ব্যবস্থাঃ দর্শনীয় স্থানের কোন আবাসনের ব্যবস্থা নেই। তবে ফরিদপুর শহরের আবাসনের ব্যবস্থা আছে।
দর্শনীয় স্থানের তত্ত্বাবধায়কের যোগাযোগের ঠিকানাঃ (১) মোবাইল নং ০১৯১৫৬১০৫১ ও ০১৯১১৭৫৯৪০৫ |
|
|
|
 |
|
নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউট:
নদী মাতৃক এ বাংলাদেশ একটি অতি জটিল পলিভরণকৃত ব-দ্বীপ। অসংখ্য বিনুনি শাখা প্রশাখা সহ গঙ্গা-পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও মেঘনা এ ৩টি অন্যতম প্রধান ও সুবৃহৎ আন্তর্জাতিক নদীমালা কর্তৃক বাহিত পলিতে গঠিত এ বাংলাদেশ। এতদবিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে তৎকালীন সরকার ১৯৪৮ সালে ঢাকার গ্রীণরোডে প্রায় ১২ একর জমির উপর ‘‘হাইড্রলিক রিসার্চ ল্যাবরেটরী’’ নামে একটি গবেষণাগার স্থাপন করে। স্বাধীনতা উত্তরকালে ব্যাপক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৮ সালে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে এবং ‘‘হাইড্রলিক রিসার্চ ল্যাবরেটরী’’ প্রতিষ্ঠানটি ইহার সহিত একীভূত করে। পরবর্তীতে পানি সম্পদ সেক্টরে বহুমুখী গবেষণা কার্যক্রম উত্তরোত্তর বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৯০ সনের ৫৩নং আইন বলে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট কে একটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্ব-শাসিত সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন হতে আলাদা করে সরাসরি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করে।
পরিচিতি:
• ১৯৮৯ সালে ঢাকা শহর হতে ১৪০ কিলোমিটার দুরে ফরিদপুর শহরের উপকন্ঠে ৮৬ একর জমির উপর এক মনোরম পরিবেশে নদী গবেষণা ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
লাইব্রেরী: নগইতে একটি সমৃদ্ধশালী লাইব্রেরী আছে, যেখানে হাইড্রলিক্স ও জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর দেশী ও বিদেশী ১৩১৩টি বই, ২৫৭৫টি জার্নাল, ৫৮৩৫টি রিপোর্ট, প্রসিডিংস সহ ৩৯১১টি প্রকাশনা আছে।
দর্শনীয় স্থানের যাবার উপায়ঃ ফরিদপুর নতুন বাসষ্ট্যান্ড হতে ১ কিঃ মিঃ দূরে। রিক্সা/অটোরিক্সা/মাইক্রোবাস যোগে যাওয়া যায়। বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে।
দর্শনীয় স্থানের আবাসন ব্যবস্থাঃ
থাকার জন্য ভিআইপি রেস্ট হাউজ/রেস্ট হাউজ আছে।
যোগযোগ
মহাব্যবস্থাপক
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট
ফরিদপুর-৭৮০০, বাংলাদেশ
ফোন:০৬৩১-৬২৫৬১,৬৩০০৭,৬৩৪৮৮
E-mail : rri@bttb.net.bd
www: rri.gov.bd |
|
|
|
.jpg) |
|
জগদ্বন্ধু সুন্দর এর আশ্রমঃ মহাবতারী শ্রী শ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের আবির্ভাব ২৮শে এপ্রিল ১৮৭১ বাংলা ১২৭৮ সনের ১৬ বৈশাখ রোজ শুক্রবার। মানবলীলা সংবরণ করেন ১৭ সেন্টেম্বর ১৯২১। পৈত্রিক নিবাস ফরিদপুর শহর সংলগ্ন গ্রাম গোবিন্দপুর। পিতা-শ্রী দীননাথ ন্যায়রত্ম, মাতা-শ্রীমতী বামাসুন্দরী দেবী। শ্রী শ্রী প্রভু সুন্দরের আবির্ভাব মুর্শিদাবাদ জেলার ডাহাপাড়ায়। কারণ ডাহাপাড়া পিতার কর্মস্থল ছিল। তিনি শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গন প্রতিষ্ঠা করেন বাংলা আষাঢ় ১৩০৬ রথযাত্রা উৎসরে। শ্রীঅঙ্গনের এ জমি দান করেন ফরিদপুর গোয়ালচামটের শ্রীরামসুন্দর ও শ্রীরাম কুমারমুদি। শ্রীরাম শ্রীঅঙ্গন মহানাম প্রচারের কেন্দ্রে পরিনণত হয়। তাঁর দিব্যজীবন স্থায়িত্ব পঞ্চাশ বছর চার মাস বিশ দিন মাত্র। বিদ্যজীবনের প্রথম আঠারো বৎসর বিদ্যাভাব, দশ বৎসর কর্মজীবন, পরবর্তী ষোল বৎসর আট মাস গম্ভীরালীলা নিমগ্ন থাকেন। মানবলীলা সংবরণের পরবর্তী মাস বাংলা ১৩২৮ সনের ২ রা কার্তিক হতে শ্রীধাম অঙ্গনে দিবস-রজনী অখন্ড মহানাম কীর্তন অব্যাহত রয়েছে। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ -হরিকথা, চন্দ্রপাত, ত্রিকাল ইত্যাদি।
দর্শনীয় স্থানে যাবার উপায়ঃ ফরিদপুর পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন, ফরিদপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে।
দর্শনীয় স্থানের আবাসনের ব্যবস্থাঃ নতুন নির্মাণাধীন মান সম্মত ৩০ কক্ষ বিশিষ্ট ৫ তলা একটি ভক্তবাস আছে। ১৫০ জন ভক্তবাস থাকতে পারেন।
দর্শনীয় স্থানের তত্ত্বাবধায়কের যোগাযোগের ঠিকানাঃ শ্রীমৎ কান্তিবন্ধু ব্রক্ষ্ণচারী, সভাপতি, শ্রী শ্রী প্রভু জগদ্বদ্ধু সুন্দর, গোয়ালচামট, ফরিদপুর। ফোন নং- ০৬৩১-৬৪৫৫২, মোবাইল নং-০১৭১৫-০১৫৮৪১। |
|
|
|
 |
|
|
|
|
|
 |
|
রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম, বালিয়াটিঃ
বালিয়াটির জমিদার ও স্থানীয় জনসাধারণের উদ্যোগে ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত। এ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান নির্বাহী দায়িত্বে আছেন স্বামী পরিমুক্তানন্দ মহারাজ। প্রতিদিন এখানে পূজাসহ শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ, স্ত্রীমা সারদা দেবী ও স্বামী বিবেকান্দের জন্ম তিথি উৎসব পালিত হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুঃস্থ মানুষের পাশে এ প্রতিষ্ঠান দাড়ায়। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক দর্শনার্থীর সমাগক হয় এখানে। |
|
|
|
 |
|
ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্ক দীর্ঘদিনের অবহেলিত ফরিদপুর ইতিহাস ঐতিহ্যে শিল্প সাংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ হলেও অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে ছিলো বঞ্চিত। দীর্ঘদিন পর ফরিদপুরের শিশুরা খুজে পেতে যাচ্ছে নির্মল বিনোদন কেন্দ্র পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্ক । স্বাধীনতার পর শহরের ঝিলটুলি এলাকায় অল্প সংখ্যক জমিতে একটি শিশূ পার্ক নির্মান হলেও যথাযথ পরিচর্যার অভাবে সেটি বেশিদিন টিকে থাকেনি। ৪০ বছর পার করে এ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত দাবির প্রতি উদ্যোগী হয়ে প্রবাসীকল্যান মন্ত্রী ইঞ্জি: খন্দকার মোশাররফ হোসেন একটি বিশ্বমানের শিশুপার্ক গড়ে তোলেন । শহরের গোয়ালচামট এলাকায় ১৪ একর জমির উপর নির্মান হচ্ছে ওয়ান্ডারল্যান্ড ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে একটি শিশু পার্ক। এই বিনোদন কেন্দ্রটি দেশের শ্রেষ্ঠ পার্ক নয় বিশ্বমানের একটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি । ওয়ান্ডারল্যান্ড এর জেনারেল ম্যানেজার এম কুতুবউদ্দিন পাটোয়ারি জানান, প্রায় দুশো কোটি টাকার উপরে ব্যায় করে এই পাকর্টি নির্মান করা হয়েছে । |